রাজশাহীতে অক্টোবর মাসে ১৩ জন নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে।

উন্নয়ন সংস্থা লেডিস অর্গানাইজেশন ফর সোসাল ওয়েলফেয়ার (লফস) অত্র জেলায় দীর্ঘদিন যাবৎ নারী ও শিশুর উন্নয়নে কাজ করছে।

মানবাধিকার সংগঠন হিসেবে লফস সংস্থার ডকুমেন্টেশন সেল থেকে রাজশাহীর প্রচারিত দৈনিক পত্রিকার সংবাদের ভিত্তিতে নিয়মিত নারী ও শিশু নির্যাতনের পরিস্থিতি প্রকাশ করে।

লফস মনে করে অত্র অঞ্চলে নারী ও শিশু নির্যাতন পরিস্থিতি বিভিন্ন মাত্রায় অবনতি ঘটছে।যৌতুক ও পরকীয়ার কারনে অধিকাংশ নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে।অনেক ক্ষেত্রে বিদেশি কিছু টিভি সিরিয়াল পরকিয়াকে উৎসাহিত করছে।

এছাড়া পারিবারিক কলহ ও প্রেম ঘটিত কারনে হত্যা-আত্মহত্যা ও অমানবিক নির্যাতনের মতো ঘটনা ঘটছে।বিষয়গুলো কারও জন্য সুখকর নয়।

অক্টোবর মাসে অমানবিক কিছূ ঘটে যাওয়া ঘটনার চিত্র-

বাঘায় ১৩ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ, দুর্গাপুরে ৮বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ, বাঘায় পিতার উপর অভিমান করে ৫ম শ্রেণির ছাত্র উৎসব কুমার (১১) এর আত্মহত্যা,পুঠিয়া উপজেলায় পারিবারিক কলহের জেওে সন্তান জিহাদ (৫) কে ফাঁস দিয়ে মেরে মা শান্তনা খাতুন (২৮) নিজেও ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে, তানোরে গভীর রাতে প্রাচীর টপকে গৃহবধূর ঘরে ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিয়োগ, নগরীতে স্বামী দ্বারা নির্যাতনের শিকার এক নারী, নেশার টাকার জন্য মাকে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ ছেলের বিরুদ্ধে, দুর্গাপুরে আংগুরা বেগম (৬০) কে হত্যার চেষ্টা কওে তার ছেলে ও ছেলের বউ, বাগমারা উপজেলায় জমি জমা নিয়ে বিরোধের জেওে ভাবি জাহানারা বেগম (৫৫) কে খুন করে দেবর, পুঠিয়ায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন প্রেমিকার, দুর্গাপুওে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন প্রেমিকার, নগরীতে স্বামী দ্বারা নির্যাতনের শিকার এক নারী, ঘটনাগুলো সকলের জন্য উদ্বেগজনক।

লফস এর নির্বাহী পরিচালক শাহানাজ পারভীন বলেন, সংবাদ পত্রে প্রকাশিত ঘটনার বাইরেও অনেক ঘটনা ঘটে যা প্রকাশিত হয় না বা কোন তথ্য জানা যায় না এমন বাস্তবতায়।রাজশাহীতে নারী ও শিশু নির্যাতনের প্রকাশিত তথ্য হতাশাজনক।রাজশাহী অঞ্চলে নারী-শিশু নির্যাতন সহ সার্বিক ঘটনাগুলোর সুষ্ঠ তদন্ত ও দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

তিনি বলেন, অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করা না গেলে ক্রমশই অপরাধীরা উৎসাহিত হবে এবং অপরাধের মাত্রা বৃদ্ধি পাবে।লফস সকল নারী-শিশু নির্যাতন ঘটনাগুলোর সুষ্ঠ তদন্ত স্বাপেক্ষে অপরাধীর কঠোর শাস্তির দাবী জানান।

অক্টোবর মাসের নারী ও শিশু পরিস্থিতির তথ্য তুলে ধরা হলো-

হত্যাঃ শিশু-০১ জন, নারী-০১জন : মোট-০২ জন
হত্যার চেষ্টাঃ  শিশু-০০ জন, নারী-০২ জন : মোট-০২ জন
আত্বহত্যাঃ শিশু-০১ জন, নারী-০১ জন : মোট-০২ জন
ধর্ষনঃ শিশু-০১ জন, নারী-০০ জন : মোট-০১ জন
ধর্ষনের চেষ্টাঃ শিশু-০১ জন, নারী-০১ জন : মোট-০২ জন
নির্যাতনঃ শিশু-০০ জন, নারী-০৪ জন : মোট-০৪ জন

সর্বমোট: শিশু-০৪ জন, নারী-০৯ জন, মোট-১৩ জন